নিউজ পোল ডেস্ক: কথায় আছে প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন মহিলা থাকেন। বহু যুগ থেকে আমরা তার প্রমাণও পেয়েছি। মেয়েরা কখনও স্ত্রী রূপে তো কখনও মা রূপে সফলতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ তেমনই এক মায়ের কথা বলব। ছেলে সুভাষচন্দ্র বসু আইসিএস ছেড়ে দিয়ে মা’য়ের কাছে দেশের কাজ করার অনুমতি চেয়েছিলেন, জবাবে মা বলেছিলেন, “আমি ত্যাগের মন্ত্রে বিশ্বাস করি।” মা’য়ের কথা ও শিক্ষায় ছেলে শুধু ত্যাগই করে গেলেন, কিছু পাবার আশা না করে বিলিয়ে দিলেন সর্বস্ব। ১৯৪১, প্রাণাধিক প্রিয় পুত্র সুভাষ তখন নেতাজী’র লক্ষ্য ও পথে বিদেশে চলে গেলেন .. তারপরই প্রভাবতী দেবী চলে যান পুরীধামে, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত ওখানেই ছিলেন। শেষের দিকে তিনি বার বার বলতেন রাতে বাড়ির সদর দরজা খোলা রাখতে- ‘সুবি বড় অভিমানী, দরজা খোলা না পেয়ে ফিরে গেলে আর আসবে না।’ ১৯৪৩ সালের শেষদিকে আজকের দিনে মহীয়সী রত্নগর্ভা মা’য়ের প্রয়াণ ঘটে।
১৯৪৩ সাল, সুভাষচন্দ্রের মা প্রভাবতী দেবী সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর সেই মৃত্যুসংবাদ পেয়ে জাপানী সামরিক অফিসার জেনারেল ইসোদা গিয়েছেন সুভাষচন্দ্রের কাছে। গিয়ে দেখলেন ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বসে আছেন সুভাষচন্দ্র। তাঁর চোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল গড়িয়ে পড়ছে। সে এক স্তব্ধতার কান্না। ইসোদা পরে বলেছিলেন, তিনি যেন পাথরের চোখে জল দেখেছিলেন। দেশমায়ের মুক্তির জন্য যিনি সঙ্কল্পবদ্ধ, জন্মদাত্রী মাকে তিনি শেষ সময়ে চোখের দেখাও দেখতে পেলেন না। এই মানুষটিকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশনায়ক হিসাবে বরণ করে নিয়েছিলেন।
প্রয়াণ দিবসে নিউজ পোলের পক্ষ থেকে প্রনাম জানাই নেতাজী জননীকে।🙏🏼🙏🏼