আফগানিস্তানে(Afganistan) জঙ্গী হামলা রুখতে ও নজরদারি চালাতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু সেই ড্রোন হামলার ফল স্বরূপ সন্ত্রাস দমনের বদলে মৃত্যু হয়েছিল বহু আফগান নাগরিকের।
শুক্রবার মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরে জনসাধারণকে উদ্ধারকার্য চালানোর সময় মার্কিন সেনার উপর হামলা চালায় জঙ্গীরা। তখনই পাল্টা হামলা শুরু করে মার্কিন সেনা(Maarkin army)।
তারা ড্রোন হামলা চালায় জঙ্গিদের উপর। কিন্তু তাদের এই ড্রোন হামলার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না, এমনটাই জানিয়েছেন কেনেথ ম্যাকেন্জি। এর জন্য কেনেথ ম্যাককেনজি ক্ষমাও চেয়েছেন।
আফগানিস্তান(Afganistan) যখন প্রায় পুরোপুরি তালিবানদের হাতে চলে যায়, তখন আমেরিকার ন্যাটো বাহিনী নাগরিকদের উদ্ধার কাজ শুরু করে।
এই উদ্ধারকাজে তখন যোগ দেয় অন্যান্য দেশের সামরিক বাহিনীও।
কিন্তু উদ্ধারকাজ চলাকালীন কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাবেই গেটের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
একই দিনে আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা বিমানবন্দরের উল্টো দিকে অবস্থিত ব্যারন হোটেলের সামনে।
এই ঘটনায় মোট ১০৩ জনের মৃত্যু হয়, যাঁদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনাও ছিলেন।
এই হামলার দায় স্বেচ্ছায় স্বীকার করে আইএস জঙ্গী সংগঠন। এর জবাব দিতে গত ২৯শে আগষ্ট হামলা চালিয়েছিল ন্যাটো বাহিনী।
ড্রোন হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে জানা গেছে, এই হামলার ফলে মৃত্যু হয়েছে আফগানিস্তানের(Afganistan) সাধারণ মানুষের।
এই ঘটনার তদন্ত হওয়ার পর মার্কিন সেনা স্বীকার করেছে যে, তাদের ড্রোন হামলার ফলে ১০ জন সাধারণ মানুষ মারা গেছেন।
পেন্টাগনের(Pentagon) তরফে মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাককেনজি বলেন, উদ্ধারকাজ চালানোর সময়
এয়ারপোর্টের(Airport) কাছে যে জঙ্গী হামলা হয়েছিল, তার পাল্টা জবাব দিতেই এই এয়ার স্ট্রাইক করেছিল মার্কিন সেনা।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া ঠিক হয়নি। তার জন্য তিনি মৃতদের পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানান তিনি।
তিনি তথ্য হিসেবে জানান, এই হামলার ঘটনায় ৭ জন শিশু সহ মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন – Captain: ঘোষণা করা হল মেদিনীপুর মহামডার্ন স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়কের নাম