উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুই কি হতে চলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি-র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী? এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তৎপরতায়। নাইডুর সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সাক্ষাতের পর এই জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। মঙ্গলবার বিজেপি (BJP)-র সংসদীয় দলের বৈঠক। এই বৈঠকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে খবর। তার আগে দিল্লির মৌলানা আজাদ রোডে উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে অমিত-নাড্ডার সাক্ষাৎ ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। তাহলে কি সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদপ্রার্থী হিসেবে নাইডুতে আস্থা রাখতে চলেছে কেন্দ্রের শাসক দল? তবে এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

আগামী ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হতে চলেছে দেশে। হাতে খুব একটা বেশি সময় নেই। তাই বিরোধীদের টেক্কা দিতে এখনই সরকারি প্রার্থীর নাম বিজেপি (BJP) ঘোষণা করে দিতে চাইছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে কী ভাবে প্রচার হবে, তা নিয়ে সোমবারই বিজেপি সভাপতি একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন বলে খবর। হরেক মুখের ভিড়ে হঠাৎ করে ভেঙ্কাইয়া নাইডুর নাম উঠে আসায় ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে নানা কৌতূহল। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি মত ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে।
বিগত কয়েকদিন বিজেপি-র অন্দরে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল, তিনি কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। কিন্তু, আরিফকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে চাইছে না RSS। বরং ভেঙ্কাইয়া সংঘ ঘনিষ্ঠ। উপরাষ্ট্রপতিকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে তুলে ধরার জন্য গেরুয়া শিবিরের উপর সংঘের চাপ ছিল বলে সূত্রের খবর।
শাসক দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ভেঙ্কাইয়ার নাম উঠে আসার পিছনেও আরও একটি কারণ কাজ করছে। বিরোধীদের বৈঠকে KCR ও জগনমোহন রেড্ডির দল উপস্থিত থাকেনি। ভেঙ্কাইয়া আবার অবিভক্ত অন্ধপ্রদেশের ভূমিপুত্র। রাজনৈতিক মহলের একাশের দাবি, উপরাষ্ট্রপতির নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হলে একদিকে KCR এবং জগনমোহন রেড্ডি দলের ভোট যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি ভাঙন ধরানো যাবে বিরোধী শিবিরে।