
কানাডার (Canada) টিকাবিরোধী (Anti vaccination) আন্দোলনের রেশ পৌঁছল নিউজিল্যান্ডেও (New Zealand)। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধে গেল। ৫০ জনেরও বেশি আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানাডায় ট্রাক চালকদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তারই প্রতিফলন পড়েছে ওয়েলিংটনেও। যার জেরে বহু ট্রাক রাস্তায় আটকে রয়েছে। ফলে স্বাভাবিক জনজীবন অনেকটাই ব্যাহত হয়েছে।
মঙ্গলবার এই আন্দোলন শুরু হয়। ২৪ ঘণ্টারও বেশি হয়ে গিয়েছে, বহু গাড়ি একই জায়গায় আটকে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই নড়েচড়ে বসেছে সেদেশের প্রশাসন। উপপ্রধানমন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসন জানিয়েছেন, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে প্রশাসনের। পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। ‘রেডিও নিউজিল্যান্ড’-এ তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘শহরের বহু রাস্তা অবরুদ্ধ। যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসা বাণিজ্যেও। মানুষজন ভীত হয়ে রয়েছে। কিছু প্রতিবাদীর জন্য এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’’
যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণই রয়েছে। বরং পুলিশই তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য সরকারি মতকেই মান্যতা দিচ্ছে। রাস্তায় মাস্ক পরার জন্য আন্দোলনকারীরা বহু নাগরিককে নিগ্রহ করছেন, এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, নিউজিল্যান্ডে স্বাস্থ্য, আইন, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, ক্রীড়াক্ষেত্র কিংবা ধর্মীয় সভা ও প্রতিষ্ঠানেও টিকাকরণের প্রমাণপত্র ছাড়া প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু অনেকেই টিকা নিতে অস্বীকার করেছেন। আর তা থেকেই এই আন্দোলনের সূত্রপাত।covid
উল্লেখ্য, একই ছবি রয়েছে কানাডাতেও। করোনার (Coronavirus) টিকাকরণ (COVID vaccination) বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। তুলে নেওয়া হোক সব নিষেধাজ্ঞা। এই দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল সেদেশও। আন্দোলনের ভরকেন্দ্র থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বাসস্থান রিডিউ কটেজ। তাই তাঁকো গোপন আস্তানায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত সেখানেও।