আসন্ন উপনির্বাচনের(by-election) নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে নির্বাচন কমিশন ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ৩০শে অক্টোবর রাজ্যে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে।
সেখানে প্রথমে নির্বাচন কমিশন(Election commission) ঠিক করেছিল ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ভোট করানো হবে।
তারপর কিছুদিন পরেই সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়ে দাঁড়াল ৮০।
এবার বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যাটা আরও বেড়ে হল ৯২!
এই ক্রমাগত কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে এবং কৌতূহল তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মনেও।
আগামী ৩০শে অক্টোবর গোসাবা, খড়দহ, দিনহাটা ও শান্তিপুর এই চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন(by-election) রয়েছে।
চারটি কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে তা জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফে।
এবার হঠাৎ অতিরিক্ত এই ১২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের কথা প্রশাসনকে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সম্প্রতি বিজেপি নেতারা নির্বাচন আধিকারিকের অফিসে গিয়েছিলেন।
তারপরই এই ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বেড়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে?
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে থাকবে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী,
খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রে ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা থাকবে।
কেবল বিএসএফ নয়, পাশাপাশি সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, এসএসবি, আইটিবিপির জওয়ানরাও থাকবেন।
সম্প্রতি পুজোর আগেই দুটি কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন এবং ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের(by-election) জন্য
মোট ৭২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন।
এবার সেখানে কেন্দ্র সংখ্যা বেড়েছে মাত্র একটি। তার জন্য এত বাহিনীর প্রয়োজন হচ্ছে কেন, স্বাভাবিক ভাবেই উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন- CM: উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী, চলবে লাগাতার বৈঠক