মহারাষ্ট্রে অব্যাহত মহাসংকট (Maharashtra) অব্যহত রাজনৈতিক সমস্যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সরকার বাঁচাতে এবার শরদ পাওয়ার-এর মাস্টার ফর্মুলা। সূত্রের খবর, জোট বাঁচাতে এনসিপি প্রধানের পরামর্শ একনাথ শিন্ডেকে করে দেওয়া হোক মুখ্যমন্ত্রী। তাতে ক্ষমতা থাকবে জোটের হাতেই। অন্যদিকে, বুধবার বিকেলেই ফেসবুক লাইভে থেকে উদ্ধব ঠাকরের বার্তা, “আমি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। আমার পদত্যাগপত্র তৈরি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনও ছেড়ে দিতে রাজি।”

রাত বাড়তেই যেমন কথা তেমনই কাজই করে বসলেন উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ‘বর্ষা’ ছেড়ে বেরিয়ে যান শিবসেনা প্রধান। যদিও শিবসেনা সদস্যরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ছেন না উদ্ধব। সরকারি বাংলো ছেড়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা উদ্ধবের ছেলে আদিত্য ঠাকরে ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে পারিবারিক বাড়ি মাতোশ্রীর দিকে রওনা হন তিনি। এখনও অনিশ্চিত মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক চিত্র।
একইসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, “যখন ক্ষমতায় এসেছিলাম তখন আমার কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। সমস্ত সমস্যার মোকাবিলা করেছি। কোভিড মোকাবিলায় ভালো কাজ করেছে সরকার। হাসপাতালে থাকাকালীনও ক্যাবিনেট বৈঠক করেছি। এখন আমি করোনায় আক্রান্ত।” হিন্দুত্বই শিবসেনার পরিচয়। শিবসেনা ও হিন্দুত্ব একই মুদ্রার দুই পিঠ। এমনও মন্তব্য করতে শোনা গেল উদ্ধব ঠাকরেকে। তার কথায়, “আমাদের নিঃশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হিন্দুত্ব। জনগণ আমায় মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছে।” অনেক বিধায়ককে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি উদ্ধব ঠাকরের। উদ্ধব ঠাকরে এদিন আরও জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর পদ আসবে যাবে। কিন্তু, মানুষের ভালোবাসা থেকে যাবে। বিগত দু’বছরে আমি জনগণের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি ভাগ্যবান।” শরদ পাওয়ার এবং সোনিয়া গান্ধীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উদ্ধব। (Maharashtra) কেবলমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে নয়, শিবসেনা প্রধান হিসেবেও সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। এমনটাই বার্তা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, “যে বিধায়করা বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা সামনে আসুন। আমি পদ থেকে সরে দাঁড়াতেও প্রস্তুত।”