ভারতীয় ক্রিকেটের এর ইতিহাসে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) অবদান অনস্বীকার্য। ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে যখন ভারতীয় ক্রিকেট দলের ভাবমূর্তি ক্রমশ কলঙ্কের কাদায় ডুবে যাচ্ছিল, ঠিক সেইসময় বেহালার এই ‘তরুণ’ ক্রিকেটারের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল। তারপর তো বাকীটা ইতিহাস।

কিংবদন্তি খেলোয়াড় সৌরভের নেতৃত্বেই বিদেশের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে জিততে শুরু করেছিল। ২০০১ সালে তাঁর নেতৃত্বেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিজয়রথ থামাতে পেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। ‘দাদা’ই প্রথম ভারতীয় ক্রিকেট দলকে বোঝাতে পেরেছিলেন, ডর কে আগে জিত হে। আর সেই জয়োচ্ছ্বাস বেহালা ছাড়িয়ে, ইডেন টপকে একেবারে আছড়ে পড়েছিল লর্ডসের ঐতিহাসিক ব্যালকনিতে। ২০০২ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে তিনি যখন জার্সি উড়িয়েছিলেন। অধিনায়ক সৌরভের খতিয়ান যদি বিচার করতে বসতে হয়, তাহলে ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের একটা অধ্যায়ও বোধহয় কম পড়ে যাবে।(Sourav Ganguly)
কিন্তু সৌরভ যখন নিজেই নিজেকে বিচার করতে যান, তখন টিম ইন্ডিয়ার অন্য অধিনায়কদের তুলনায় নিজেকে একেবারেই এগিয়ে রাখতে পারেন না। এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল ‘দাদাগিরি’র একটি পর্ব। সেখানে একজন প্রতিযোগী ভারতের পাঁচজন অধিনায়কের নাম উল্লেখ করেন। এরমধ্যে সৌরভ কাকে কত নম্বর দেবেন, সেটাও তিনি জানতে চান। প্রথমেই আসে টাইগার পতৌদির নাম। সৌরভ (Sourav Ganguly) স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি টাইগার পতৌদির খেলা কোনওদিন নিজের চোখে দেখেননি। তবে এটুকু শুনেছেন যে তিনি একেবারে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতেন।